প্রিয় টেক টিউন বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। যারা কম্পিউটা নিয়ে কাজ করেন তারা কম্পিউটার নিয়ে কখনোবিড়ম্বনায় পড়েননি এমন লোক মনে হয় এক জনও নেই। কারণ কম্পিউটার চালালে যেকোন সময় যে কোন রকম সমস্যায় পড়াটাই সাভাবিক। তখন সিপিইউ নামক বাক্সটা নিয়ে টানাটানি করাটা যে কতটা ঝামেলা তা কেবল ভুক্তভুগিরাই জানেন। অথচ সামান্য একটু হাতের কাজ জানা থাকলেই এটা নিয়ে টানাটানি করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর নিশ্চিন্তে কাজও করা যায়। আপনাদের এই সমস্যার কথা ভেবে অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এমন একটা টিউন করব। মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন যায়গায় খুজে দেখি এমন কোন টিউন আছে কিনা। কিন্তু কোথাও তেমন কোন টিউন দেখতে পেলাম না। তাই হার্ডোয়ার নিয়ে ধারাবাহিক টিউন করব করব করে সাহস করে করেই ফেললাম। আমি আশা করি কেউ যদি এই টিউনটির প্রতিটি পর্ব মনোযোগ দিয়ে দোখেন, তিনি তার নিজের পিসির সমস্যার সমাধান করতে তো পারবেনই, ইচ্ছা করলে ছোটখাট একটা সার্ভিস সেন্টারও খুলে ফেলতে পারবেন। যাই হোক আর লেকচার না বাড়িয়ে কাজে ডুপ দেই, কেমন?
আমরা আজ জানব একটা কম্পিউটার বানাতে মোটামোটি কী কী লাগে। তারপর এগুলো কিভাবে এসেম্বল করতে হয় তা জানব। তার পর জানব কীভাবে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ করতে হয়। এর পর আলোচনা করব পিসির বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান। এগুলো ধারাবাহিকভাবে টিউন করা হবে। যেহেতু এই বিভাগটা সমস্যা ও তার সমাধান, তাই সমস্যা ও তার সমাধানগুলো আলোচনা হবে বিস্তারিত। কম্পোনেন্ট পরিচিতি আলোচনা করব সংক্ষিপ্ত।
তবে কারো কোন ইচ্ছা থাকলে এ ব্যপারেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
একটা আস্ত কম্পিউটার তৈরী করতে যা যা লাগে তা যোগার করে নেন। আর আপনি যদি তা না জানেন তবে বলেছি, কান খাড়াকরে শুনেন-
প্রথমেই দরকার একটা প্রসেসর। একটা কুলার ফ্যান। কুলার ফ্যানটি অবশ্য প্রসেসরের সাথেই থাকে। একটা মাদার বোর্ড। তবে মাদার বোর্ডটি যেন প্রসেসরটি সাপোর্ট করে। এটা মাদার বোর্ড এর স্প্যাসিফিকেশনস দেখে জেনে নিন। কেননা মাদার বোর্ড প্রসেসরটি সাপোর্ট না করলে সারা দিন গুতা গুতি করলেও কোন লাভ নেই। সবকিছু অ্যাসেম্বল হবে ঠিকই মাগার পিসি রান করবে না। আর লাগবে র্যাম, হার্ডডিস্ক, ডিভিডি রম, পাওয়ার ক্যাসিং, কি বোর্ড, মাউস আর একটা মনিটর।
তাছাড়া আরো কিছু সরঞ্জাম লাগে যেমন:-সিপিইউ পাওয়ার ক্যাবল, সাতা ক্যাবল, আই ডি ই ডাটা ক্যাবল, বিভিন্ন রকম স্ক্রু ইত্যাদি। এগুলো অবশ্য মাদার বোর্ড ও ক্যাসিং এর সাথে থাকেই।
এবার আসুন উপরের সরঞ্জামাদির সাথে একটু পরিচিত হয়ে নিই।
১। প্রসেসরঃ প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। অর্থাৎ কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপ এই প্রসেসরকেই করতে হয়। মস্তিষ্ক ছাড়া যেমন কোন মানুষ হয় না, প্রসেসর ছাড়াও তেমনি কোন পিসি হয় না। কম্পিউটারের মূল চালক এই সিপিইউ। বাহ্যিকভাবে এটি ক্ষুদ্র হলেও এর কারয ক্ষমতা কল্পনাতীত।কম্পিউটারের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকরণ ক্রিয়াকলাপ প্রসেসরের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে যে কাজটাই করি না কেন, তার সবচেয়ে জটিল এবং প্রধান কাজটাই করে প্রসেসর। আরেকটা কথা, আপনার কম্পিউটারটির কায্য ক্ষমতা কিন্তু সিপিইউর উপরই বেশিরভাগ নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার পিসি কতটা দ্রুত কাজ করবে মানে কত দ্রুত ডেটা প্রসেস করবে তা সিপিইউর উপরই নির্ভর করে। কাজেই প্রসেসরটা অবশ্যই হাই স্পীডের নিতে ভুল করবেন না। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন স্পীডের প্রসেসর পাওয়া যায়। যেমন- ইন্টেল পেন্টিয়াম ফোর, ডুয়েল কোর, কোর টু ডু, কোর টু কোয়াড, কোর আই-৩, কোর আই-৫, কোর আই-৭, এএমডি, এথলন ইত্যাদি। আপনার প্রসেসরের স্পীড কতো তা দেখে নিন। প্রসেসর কেনার সময় এর ক্যাশ মেমোরী কত দেখে নিন। কারণ ক্যাশ মেমোরী যত বেশী হবে প্রসেসরের প্রসেস করার ক্ষমতা এবং গতি ততো বেশী হবে। আপনি কোনটা সিলেক্ট করবেন তা আপনার ব্যাপার। এগুলো বিস্তারিত লিখলে আসল কাজ করার সুযোগ হবে না। এসব ব্যাপারে অন্য কোন টিউনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আপাতত এটুকুই জানুন।
২। কুলার ফ্যানঃ কুল মানে ঠান্ডা আর ফ্যান মানে পাখা। কাজেই কুলার ফ্যান মানে কি তা নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। প্রসেসরটি যখন কাজ করে তখন এটি প্রচুর গরম হয়। এই গরম প্রসেসরটি ঠান্ডা করার জন্যই আসলে কুলার ফ্যানটি ব্যবহার করা হয়। এটির নীচের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক গুলি অ্যালুমিনিয়ামের পাতের ফিন। এটাকে হীটসিঙ্ক বলে। মাঝখানটা সমতল। এই সমতল অংশটি প্রসেসররে সাথে লেগে থাকে। প্রসেসরটি যখন গরম হয় তখন এই অ্যালুমিনিয়ামের হীটসিঙ্কটি তাপ শোষণ করে নেয়। আর ফ্যানটি সেই তাপ বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে প্রসেসরটিকে ঠান্ডা রাখে। প্রসেসর বেশী গরম হলে পিসি হ্যাং হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় পিসিটি বন্ধও হয়ে যায়। ভাল কথা- আপনার প্রসেসরটি যত ঠান্ডা থাকবে সিপিইউটি তত দ্রুত কাজ করবে। তার মানে এই না প্রসেসরটি আপনার ডিপফ্রিজে রেখে দেবেন। কুলার ফ্যানটি একটু ভাল মানের হলেই হবে।
৩। মাদারবোর্ডঃ মাদার মানে মা- এটা সবাই জানে। এটা দেখতে বেশ বড় একটা সার্কিট বোর্ড। বিভিন্ন ছোট ছোট কম্পোনেন্ট ঝালা দিয়ে বসানো থাকে। এটাতে প্রসেসরটি বসানোর জন্য একটা সকেট থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের স্লট থাকে। এগুলো হলো, ISA, PCI, VGA, RAM ইত্যাদি। আপনার কম্পিউটারটির মা হল মাদার বোর্ড। কম্পিউটারের যতরকম ডিভাইস আছে তা কিন্তু এই মাদার বোর্ডের সাথেই যুক্ত হয়ে থাকে। এমনকি প্রসেসরটাও। আর আপনার অন্যান্য ডিভাইসগুলি কেমন কাজ করবে তা মাদার বোর্ডের উপরই নির্ভর করে। ভাল বাসের মাদার বোর্ডের পারফরমেন্স সবসময়ই ভাল। মাদার বোর্ড কেনার সময় দেখে নিন এটি কোন কোন প্রসেসর সাপোর্ট করে, এর বিল্ট ইন এজিপি RAM কত, এর বাস স্পীড কতো, র্যাম কোনটা সাপোর্ট করে। এর আই ডি ই পোর্ট আর সাটা পোর্ট কয়টা। মনে রাখবেন AGP RAM যতো বেশী হবে পিসির আউটপুট রেজুলেশন ততো ভাল দিতে পারবে। যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন কিংবা হাই রেজুলেশনের ভিডিও দেখেন অথবা বাঘা বাঘা গেমস খেলেন তাদের জন্য ব্যপারটা খুব ইমপরটেন্ট। মাদারবোর্ডটি আপনার অন্যান্য কম্পোনেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা জেনে নিন। কেননা আইডিই ডিভাইস কিনার পর দেখলেন আপনার মাদারবোর্ডে সেই পোর্টটাই নাই। তখন নিজের চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তবে এখন এর আইডিই ডিভাইস এক্সেসরিজ নেই বল্লেই চলে। লেটেস্ট মাদারবোর্ডগুলোতে কিন্ত আইডিই পোর্ট থাকে না। কারণ আইডিই পোর্ট এর চাইতে সাতা পোর্টের গতি অনেক বেশী। কিনলে লেটেস্ট মাদার বোর্ডটি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪। র্যামঃ RAM মানে Random Access Memory। কম্পিউটারের কাজকর্ম সরাসরি র্যাম এ লেখা হয় এবং এখান থেকে পড়া হয়। শিক্ষক যেমন ব্লাকবোর্ড ছাড়া কোন কিছু লিখতে পারে না, কম্পিউটারও তেমনি র্যাম ছাড়া কোন কিছু লিখতে ও পড়তে পারে না। কম্পিউটার যখন অন হয় তখন কম্পিউটার কাজ করার মতো তথ্য র্যামে এনে তবেই ওপেন হয়। আবার কোন পোগ্রাম রান করলে সেই প্রোগ্রামটা RAM এ এনেই প্রোগ্রামটা ওপেন হয়। যদি কখনো কোন প্রোগ্রাম র্যাম এ লোড করার মতো জায়গা না পায় তবে সেটা ওপেনই হবে না। কাজেই যত বেশী র্যাম লাগান ততোই ভাল চলবে আপনার পিসি। এটা একটা অস্থায়ী স্মৃতি ভান্ডার। বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেলে এই স্মৃতি ভান্ডারের সকল তথ্য মুছে যায়। র্যাম এর বাস স্পীড বেশী হলে কম্পিউটারের গতি বেশী হয়। কাজেই বাস স্পীড দেখে র্যাম সিলেক্ট করুন। বিভিন্ন প্রকার র্যাম আছে। যেমন- DDR-1, DDR-2, DDR-3, DDR-4, DDR-5, DDR-6, DDR-7, DDR-8 ইত্যাদি। ( DDR-6, DDR-7, DDR-8 নামে কোন RAM পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা জানা নাই।)
৫। হার্ডডিস্কঃ এটা দেখতে শক্ত বাক্সের মতো। তবে এটা কিন্তু লোহার তৈরীর নয়। এটা আসলে অ্যালুমিনিয়ামের বাক্সের তৈরী। নীচের দিকে একটা সার্কিড আছে। কম্পিউটারের সকল ডেটা এটাতে জমা থাকে। ভেতরের খবর পরে আলোচনা করব। এর পেছনের দিকে ডেটা কেবল ও পাওয়ার কেবল লাগানের জন্য পোর্ট আছে। বিভিন্ন ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক আছে। যেমন- ৩২০GB, 500GB, 1TB, 1.5TB ইত্যাদি। এর RPM ও ডেটা আদান প্রদান স্পীড কত তা দেখে কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ। RPM মানে হল- ঘূর্ণন পার মিনিট। যতো স্পীডে ঘুরবে ততো দ্রুত ডেটা রিড-রাইট করতে পারবে। সাধারণত ৫৪০০ ও ৭২০০ RPM পাওয়া যায়। আরেকটা ব্যাপার দেখেনিন যে হার্ডডিস্কএর সিক টাইম কত। সিকটাইম হার্ডডিস্ক এর একটা বিরাট ফ্যাক্টর। হার্ডডিস্ক নিয়ে ঝাকা-ঝাকি করা উচিৎ নয়। কেননা ঝাকা-ঝাকি করলে এটা বাদ দিয়ে নতুন আরেকটা কিনতে হতে পারে। আর আছাড় খেলেতো কোন কথাই নেই।
৬। ডিভিডি রমঃ এটা সিডি/ডিভডি রিড করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ছবি দেখে চিনে নিন এটা দেখতে কেমন হবে। আপনি ইচ্ছা করলে ডিভিডি রাইটার বা কম্বো ড্রাইভ ও ব্যবহার করতে পারবেন। মনে রাখবেন সিডিরম কেবল সিডি রিড করতে পারে, ডিভিডি নয় আর ডিভিডিরম সিডি এবং ডিভিডি উভয়ই রিড করতে পারে। এখন কোনটা কিনবেন সেটা আপনার ইচ্ছা। তবে ডেটা রিড/রাইট করার স্পীডটা দেখে কিনবেন।
৭। পাওয়ার কেসিং: কম্পিউটারের যাবতীয় কম্পোনেন্টগুলি যে খাঁচার ভিতর বসানো থাকে তাকেই বলে কেসিং। এটা স্টীল কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরী হয়ে থাকে। সামনের দিকে পাওয়ার বাটন, রিসেট বাটন, USB পোর্ট ও Front Audio পোর্ট থাকে। আর থাকে পাওয়ার LED ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ LED। পেছনের দিকে থাকে বিভিন্ন কানেক্টরের পোর্ট ও কুলিং ফ্যান। পাওয়ার কেসিং নিয়ে কেউ মাথা না ঘামালেও আমি মনে করি এটা কম্পিউটারের আরেকটা ইমপরটেন্ট বস্তু। কেননা আপনার কম্পিউটারের চালিকা শক্তির যোগান কিন্তু এই পাওয়ার কেসিংই সরবারহ করে। এটার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পুরো সিস্টেমে পাওয়ার সরবারহ করে। পাওয়ার সাপ্লাই দুরবল হলে আপনার পিসির হায়াৎ অর্ধেকটা কমে যাবে। বেশি ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করা উত্তম। সেটা যেন ভালমানের হয়। আর কেসিংএ ভেতরটা একটু খোলামেলা হলে ভাল হয়। কুলিং ব্যবস্থাটা অবশ্যই ভাল হতে হবে। কারণ কেসিংএ কুলিং ব্যবস্থা ভাল না থাকলে পুরো সিপিইউটাই গরম হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগলেও বড় সাইজের কেসিং ব্যবহার করা ভাল।
৮। কিবোর্ডঃ এটা দেখতে অনেকগুলো বাটনের সমষ্টি। সাধারণত ১০১, ১০২, ১০৪, ১২৫ টি বাটন থাকতে পারে। কম্পিউটারে বিভিন্ন ডেটা ইনপুট করার জন্য এই কি বোর্ড ব্যবহার করা হয়। কি বোর্ড একটা হলেই হল। তবে ভাল হলে ভাল। কী গুলো সফ্ট হলে আরো ভাল।
৯। মাউসঃ মাউস দেখতে নেংটি ইদুরের মতো। তবে তার লেজটা সরু ও খুব লম্বা। লেজটার মাথাটা কিন্তু একটু বড়। ইঁদুরটা দেখতে মৃত, এটা সিপিইউর পেছনে সংযোগ দিয়ে জিবীত করা হয়। নেংটি ইঁদুরটি আপনার হাতের সাথে সহজেই মানানসই এমন সাইজ বেছে নিন। ইয়া বড় কিংবা একেবারে টুনিটেক হলে সমস্যা। কাজ করে সাচ্ছন্দ্য বোধ নাও হতে পারে।
১০। মনিটরঃ এটা দেখতে টেলিভিশনের মতো। কম্পিউটার চালু করলে যে পর্দাটায় রঙিন ছবি ভেসে উঠে এটাই মনিটর। এটা কয়েক প্রকারের হয়। যেমন: CRT, LCD, LED, Plasma ইত্যাদি। আমরা সারাদিন কম্পিউটারে যতই কাজ করি তার কোনটাই কিন্তু মনিটরে হয় না। সকল কাজ হয় সিপিইউতে। আমরা কি করছি বা কোথায় করছি তা দেখার জন্য শুধু মনিটর ব্যবহূত হয়। আপনার কাজের ধরণ অনুয়ায়ী বেছেনিন। হাই রেজুলেশন হলে ভাল। রেজুলেশন যতো বেশী হবে ছবি ততো ভাল হয়ার কথা। তবে সামনে বসে কাজ করতে হলে মিডিয়াম সাইজই ভাল। টিভি দেখার ইচ্ছা হলে ১০০০ ইঞ্চি কিনলেও আমার সমস্যা নাই।
আজকে শুধু কম্পোনেন্ট গুলোর নাম জানলাম। আগামী পরবে এগুলো অ্যাসেম্ব্লিং করে কীভাবে একটি কম্পিউটার তৈরী করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হবে। ধৈয্য ধরে সাথে থাকুন।
আরেকটা কথা, এখানে আমরা হার্ডওয়্যার এর সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। কাজেই প্রত্যেকটি হার্ডওয়্যারের বিস্তারির আলোচনা করলে আসল কাজ হবে না। তবে আপনাদের মতামত থাকলে সেটাও করা হবে। তখন কিন্তু এক পরবে মাত্র একটা কম্পোনেন্ট নিয়ে আলোচনা করব, বেশী নয়।
কেমন লাগল জানাবেন। ভাল লাগলে টিউন চালিয়ে যাব। আর খারাপ লাগলে এখানেই বিদায়, আর সামনে বাড়ব না। কোন সাজেশন্স থাকলে করবেন। কমেন্টস করলে আরো ভাল।
সবাই ভাল থাকবেন
আমরা আজ জানব একটা কম্পিউটার বানাতে মোটামোটি কী কী লাগে। তারপর এগুলো কিভাবে এসেম্বল করতে হয় তা জানব। তার পর জানব কীভাবে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ করতে হয়। এর পর আলোচনা করব পিসির বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান। এগুলো ধারাবাহিকভাবে টিউন করা হবে। যেহেতু এই বিভাগটা সমস্যা ও তার সমাধান, তাই সমস্যা ও তার সমাধানগুলো আলোচনা হবে বিস্তারিত। কম্পোনেন্ট পরিচিতি আলোচনা করব সংক্ষিপ্ত।
তবে কারো কোন ইচ্ছা থাকলে এ ব্যপারেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
একটা আস্ত কম্পিউটার তৈরী করতে যা যা লাগে তা যোগার করে নেন। আর আপনি যদি তা না জানেন তবে বলেছি, কান খাড়াকরে শুনেন-
প্রথমেই দরকার একটা প্রসেসর। একটা কুলার ফ্যান। কুলার ফ্যানটি অবশ্য প্রসেসরের সাথেই থাকে। একটা মাদার বোর্ড। তবে মাদার বোর্ডটি যেন প্রসেসরটি সাপোর্ট করে। এটা মাদার বোর্ড এর স্প্যাসিফিকেশনস দেখে জেনে নিন। কেননা মাদার বোর্ড প্রসেসরটি সাপোর্ট না করলে সারা দিন গুতা গুতি করলেও কোন লাভ নেই। সবকিছু অ্যাসেম্বল হবে ঠিকই মাগার পিসি রান করবে না। আর লাগবে র্যাম, হার্ডডিস্ক, ডিভিডি রম, পাওয়ার ক্যাসিং, কি বোর্ড, মাউস আর একটা মনিটর।
তাছাড়া আরো কিছু সরঞ্জাম লাগে যেমন:-সিপিইউ পাওয়ার ক্যাবল, সাতা ক্যাবল, আই ডি ই ডাটা ক্যাবল, বিভিন্ন রকম স্ক্রু ইত্যাদি। এগুলো অবশ্য মাদার বোর্ড ও ক্যাসিং এর সাথে থাকেই।
এবার আসুন উপরের সরঞ্জামাদির সাথে একটু পরিচিত হয়ে নিই।
১। প্রসেসরঃ প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। অর্থাৎ কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপ এই প্রসেসরকেই করতে হয়। মস্তিষ্ক ছাড়া যেমন কোন মানুষ হয় না, প্রসেসর ছাড়াও তেমনি কোন পিসি হয় না। কম্পিউটারের মূল চালক এই সিপিইউ। বাহ্যিকভাবে এটি ক্ষুদ্র হলেও এর কারয ক্ষমতা কল্পনাতীত।কম্পিউটারের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকরণ ক্রিয়াকলাপ প্রসেসরের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে যে কাজটাই করি না কেন, তার সবচেয়ে জটিল এবং প্রধান কাজটাই করে প্রসেসর। আরেকটা কথা, আপনার কম্পিউটারটির কায্য ক্ষমতা কিন্তু সিপিইউর উপরই বেশিরভাগ নির্ভর করে। অর্থাৎ আপনার পিসি কতটা দ্রুত কাজ করবে মানে কত দ্রুত ডেটা প্রসেস করবে তা সিপিইউর উপরই নির্ভর করে। কাজেই প্রসেসরটা অবশ্যই হাই স্পীডের নিতে ভুল করবেন না। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন স্পীডের প্রসেসর পাওয়া যায়। যেমন- ইন্টেল পেন্টিয়াম ফোর, ডুয়েল কোর, কোর টু ডু, কোর টু কোয়াড, কোর আই-৩, কোর আই-৫, কোর আই-৭, এএমডি, এথলন ইত্যাদি। আপনার প্রসেসরের স্পীড কতো তা দেখে নিন। প্রসেসর কেনার সময় এর ক্যাশ মেমোরী কত দেখে নিন। কারণ ক্যাশ মেমোরী যত বেশী হবে প্রসেসরের প্রসেস করার ক্ষমতা এবং গতি ততো বেশী হবে। আপনি কোনটা সিলেক্ট করবেন তা আপনার ব্যাপার। এগুলো বিস্তারিত লিখলে আসল কাজ করার সুযোগ হবে না। এসব ব্যাপারে অন্য কোন টিউনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আপাতত এটুকুই জানুন।
২। কুলার ফ্যানঃ কুল মানে ঠান্ডা আর ফ্যান মানে পাখা। কাজেই কুলার ফ্যান মানে কি তা নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। প্রসেসরটি যখন কাজ করে তখন এটি প্রচুর গরম হয়। এই গরম প্রসেসরটি ঠান্ডা করার জন্যই আসলে কুলার ফ্যানটি ব্যবহার করা হয়। এটির নীচের দিকে তাকালে দেখবেন অনেক গুলি অ্যালুমিনিয়ামের পাতের ফিন। এটাকে হীটসিঙ্ক বলে। মাঝখানটা সমতল। এই সমতল অংশটি প্রসেসররে সাথে লেগে থাকে। প্রসেসরটি যখন গরম হয় তখন এই অ্যালুমিনিয়ামের হীটসিঙ্কটি তাপ শোষণ করে নেয়। আর ফ্যানটি সেই তাপ বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে প্রসেসরটিকে ঠান্ডা রাখে। প্রসেসর বেশী গরম হলে পিসি হ্যাং হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় পিসিটি বন্ধও হয়ে যায়। ভাল কথা- আপনার প্রসেসরটি যত ঠান্ডা থাকবে সিপিইউটি তত দ্রুত কাজ করবে। তার মানে এই না প্রসেসরটি আপনার ডিপফ্রিজে রেখে দেবেন। কুলার ফ্যানটি একটু ভাল মানের হলেই হবে।
৩। মাদারবোর্ডঃ মাদার মানে মা- এটা সবাই জানে। এটা দেখতে বেশ বড় একটা সার্কিট বোর্ড। বিভিন্ন ছোট ছোট কম্পোনেন্ট ঝালা দিয়ে বসানো থাকে। এটাতে প্রসেসরটি বসানোর জন্য একটা সকেট থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের স্লট থাকে। এগুলো হলো, ISA, PCI, VGA, RAM ইত্যাদি। আপনার কম্পিউটারটির মা হল মাদার বোর্ড। কম্পিউটারের যতরকম ডিভাইস আছে তা কিন্তু এই মাদার বোর্ডের সাথেই যুক্ত হয়ে থাকে। এমনকি প্রসেসরটাও। আর আপনার অন্যান্য ডিভাইসগুলি কেমন কাজ করবে তা মাদার বোর্ডের উপরই নির্ভর করে। ভাল বাসের মাদার বোর্ডের পারফরমেন্স সবসময়ই ভাল। মাদার বোর্ড কেনার সময় দেখে নিন এটি কোন কোন প্রসেসর সাপোর্ট করে, এর বিল্ট ইন এজিপি RAM কত, এর বাস স্পীড কতো, র্যাম কোনটা সাপোর্ট করে। এর আই ডি ই পোর্ট আর সাটা পোর্ট কয়টা। মনে রাখবেন AGP RAM যতো বেশী হবে পিসির আউটপুট রেজুলেশন ততো ভাল দিতে পারবে। যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন কিংবা হাই রেজুলেশনের ভিডিও দেখেন অথবা বাঘা বাঘা গেমস খেলেন তাদের জন্য ব্যপারটা খুব ইমপরটেন্ট। মাদারবোর্ডটি আপনার অন্যান্য কম্পোনেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা জেনে নিন। কেননা আইডিই ডিভাইস কিনার পর দেখলেন আপনার মাদারবোর্ডে সেই পোর্টটাই নাই। তখন নিজের চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তবে এখন এর আইডিই ডিভাইস এক্সেসরিজ নেই বল্লেই চলে। লেটেস্ট মাদারবোর্ডগুলোতে কিন্ত আইডিই পোর্ট থাকে না। কারণ আইডিই পোর্ট এর চাইতে সাতা পোর্টের গতি অনেক বেশী। কিনলে লেটেস্ট মাদার বোর্ডটি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪। র্যামঃ RAM মানে Random Access Memory। কম্পিউটারের কাজকর্ম সরাসরি র্যাম এ লেখা হয় এবং এখান থেকে পড়া হয়। শিক্ষক যেমন ব্লাকবোর্ড ছাড়া কোন কিছু লিখতে পারে না, কম্পিউটারও তেমনি র্যাম ছাড়া কোন কিছু লিখতে ও পড়তে পারে না। কম্পিউটার যখন অন হয় তখন কম্পিউটার কাজ করার মতো তথ্য র্যামে এনে তবেই ওপেন হয়। আবার কোন পোগ্রাম রান করলে সেই প্রোগ্রামটা RAM এ এনেই প্রোগ্রামটা ওপেন হয়। যদি কখনো কোন প্রোগ্রাম র্যাম এ লোড করার মতো জায়গা না পায় তবে সেটা ওপেনই হবে না। কাজেই যত বেশী র্যাম লাগান ততোই ভাল চলবে আপনার পিসি। এটা একটা অস্থায়ী স্মৃতি ভান্ডার। বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে গেলে এই স্মৃতি ভান্ডারের সকল তথ্য মুছে যায়। র্যাম এর বাস স্পীড বেশী হলে কম্পিউটারের গতি বেশী হয়। কাজেই বাস স্পীড দেখে র্যাম সিলেক্ট করুন। বিভিন্ন প্রকার র্যাম আছে। যেমন- DDR-1, DDR-2, DDR-3, DDR-4, DDR-5, DDR-6, DDR-7, DDR-8 ইত্যাদি। ( DDR-6, DDR-7, DDR-8 নামে কোন RAM পৃথিবীর কোথাও আছে কিনা জানা নাই।)
৫। হার্ডডিস্কঃ এটা দেখতে শক্ত বাক্সের মতো। তবে এটা কিন্তু লোহার তৈরীর নয়। এটা আসলে অ্যালুমিনিয়ামের বাক্সের তৈরী। নীচের দিকে একটা সার্কিড আছে। কম্পিউটারের সকল ডেটা এটাতে জমা থাকে। ভেতরের খবর পরে আলোচনা করব। এর পেছনের দিকে ডেটা কেবল ও পাওয়ার কেবল লাগানের জন্য পোর্ট আছে। বিভিন্ন ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক আছে। যেমন- ৩২০GB, 500GB, 1TB, 1.5TB ইত্যাদি। এর RPM ও ডেটা আদান প্রদান স্পীড কত তা দেখে কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ। RPM মানে হল- ঘূর্ণন পার মিনিট। যতো স্পীডে ঘুরবে ততো দ্রুত ডেটা রিড-রাইট করতে পারবে। সাধারণত ৫৪০০ ও ৭২০০ RPM পাওয়া যায়। আরেকটা ব্যাপার দেখেনিন যে হার্ডডিস্কএর সিক টাইম কত। সিকটাইম হার্ডডিস্ক এর একটা বিরাট ফ্যাক্টর। হার্ডডিস্ক নিয়ে ঝাকা-ঝাকি করা উচিৎ নয়। কেননা ঝাকা-ঝাকি করলে এটা বাদ দিয়ে নতুন আরেকটা কিনতে হতে পারে। আর আছাড় খেলেতো কোন কথাই নেই।
৬। ডিভিডি রমঃ এটা সিডি/ডিভডি রিড করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ছবি দেখে চিনে নিন এটা দেখতে কেমন হবে। আপনি ইচ্ছা করলে ডিভিডি রাইটার বা কম্বো ড্রাইভ ও ব্যবহার করতে পারবেন। মনে রাখবেন সিডিরম কেবল সিডি রিড করতে পারে, ডিভিডি নয় আর ডিভিডিরম সিডি এবং ডিভিডি উভয়ই রিড করতে পারে। এখন কোনটা কিনবেন সেটা আপনার ইচ্ছা। তবে ডেটা রিড/রাইট করার স্পীডটা দেখে কিনবেন।
৭। পাওয়ার কেসিং: কম্পিউটারের যাবতীয় কম্পোনেন্টগুলি যে খাঁচার ভিতর বসানো থাকে তাকেই বলে কেসিং। এটা স্টীল কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরী হয়ে থাকে। সামনের দিকে পাওয়ার বাটন, রিসেট বাটন, USB পোর্ট ও Front Audio পোর্ট থাকে। আর থাকে পাওয়ার LED ও হার্ডডিস্ক ড্রাইভ LED। পেছনের দিকে থাকে বিভিন্ন কানেক্টরের পোর্ট ও কুলিং ফ্যান। পাওয়ার কেসিং নিয়ে কেউ মাথা না ঘামালেও আমি মনে করি এটা কম্পিউটারের আরেকটা ইমপরটেন্ট বস্তু। কেননা আপনার কম্পিউটারের চালিকা শক্তির যোগান কিন্তু এই পাওয়ার কেসিংই সরবারহ করে। এটার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট পুরো সিস্টেমে পাওয়ার সরবারহ করে। পাওয়ার সাপ্লাই দুরবল হলে আপনার পিসির হায়াৎ অর্ধেকটা কমে যাবে। বেশি ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করা উত্তম। সেটা যেন ভালমানের হয়। আর কেসিংএ ভেতরটা একটু খোলামেলা হলে ভাল হয়। কুলিং ব্যবস্থাটা অবশ্যই ভাল হতে হবে। কারণ কেসিংএ কুলিং ব্যবস্থা ভাল না থাকলে পুরো সিপিইউটাই গরম হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগলেও বড় সাইজের কেসিং ব্যবহার করা ভাল।
৮। কিবোর্ডঃ এটা দেখতে অনেকগুলো বাটনের সমষ্টি। সাধারণত ১০১, ১০২, ১০৪, ১২৫ টি বাটন থাকতে পারে। কম্পিউটারে বিভিন্ন ডেটা ইনপুট করার জন্য এই কি বোর্ড ব্যবহার করা হয়। কি বোর্ড একটা হলেই হল। তবে ভাল হলে ভাল। কী গুলো সফ্ট হলে আরো ভাল।
৯। মাউসঃ মাউস দেখতে নেংটি ইদুরের মতো। তবে তার লেজটা সরু ও খুব লম্বা। লেজটার মাথাটা কিন্তু একটু বড়। ইঁদুরটা দেখতে মৃত, এটা সিপিইউর পেছনে সংযোগ দিয়ে জিবীত করা হয়। নেংটি ইঁদুরটি আপনার হাতের সাথে সহজেই মানানসই এমন সাইজ বেছে নিন। ইয়া বড় কিংবা একেবারে টুনিটেক হলে সমস্যা। কাজ করে সাচ্ছন্দ্য বোধ নাও হতে পারে।
১০। মনিটরঃ এটা দেখতে টেলিভিশনের মতো। কম্পিউটার চালু করলে যে পর্দাটায় রঙিন ছবি ভেসে উঠে এটাই মনিটর। এটা কয়েক প্রকারের হয়। যেমন: CRT, LCD, LED, Plasma ইত্যাদি। আমরা সারাদিন কম্পিউটারে যতই কাজ করি তার কোনটাই কিন্তু মনিটরে হয় না। সকল কাজ হয় সিপিইউতে। আমরা কি করছি বা কোথায় করছি তা দেখার জন্য শুধু মনিটর ব্যবহূত হয়। আপনার কাজের ধরণ অনুয়ায়ী বেছেনিন। হাই রেজুলেশন হলে ভাল। রেজুলেশন যতো বেশী হবে ছবি ততো ভাল হয়ার কথা। তবে সামনে বসে কাজ করতে হলে মিডিয়াম সাইজই ভাল। টিভি দেখার ইচ্ছা হলে ১০০০ ইঞ্চি কিনলেও আমার সমস্যা নাই।
আজকে শুধু কম্পোনেন্ট গুলোর নাম জানলাম। আগামী পরবে এগুলো অ্যাসেম্ব্লিং করে কীভাবে একটি কম্পিউটার তৈরী করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হবে। ধৈয্য ধরে সাথে থাকুন।
আরেকটা কথা, এখানে আমরা হার্ডওয়্যার এর সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। কাজেই প্রত্যেকটি হার্ডওয়্যারের বিস্তারির আলোচনা করলে আসল কাজ হবে না। তবে আপনাদের মতামত থাকলে সেটাও করা হবে। তখন কিন্তু এক পরবে মাত্র একটা কম্পোনেন্ট নিয়ে আলোচনা করব, বেশী নয়।
কেমন লাগল জানাবেন। ভাল লাগলে টিউন চালিয়ে যাব। আর খারাপ লাগলে এখানেই বিদায়, আর সামনে বাড়ব না। কোন সাজেশন্স থাকলে করবেন। কমেন্টস করলে আরো ভাল।
সবাই ভাল থাকবেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন