আমার পঠিত ব্লগ সমুহ

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২


পর্ব -১ :নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা


এই টিউটরিয়ালটি মূলত নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা আউটসোর্সিং ও দেশীয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজে আগ্রহী। আমাদের কাছ থেকে অনেক ওয়ের ডেভেলপার ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন-কিভাবে নতুন ডাটাবেজ তৈরি করব? কিভাবে আগে তৈরি করা সাইটটি সার্ভারে আপলোড করব? কিভাবে সাইটের নামে ই-মেইল খুলব? কিভাবে এফটিপি তৈরি করব? কিভাবে সাইট ব্যাকআপ নেব? তাই নবীন ওয়েব ডেভেলপারদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে এ লেখার উপস্থাপনা।কিন্তু সার্ভার ব্যবস্থাপনার আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোথায় আপনার সাইট হোস্ট করবেন?ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করা খুবই জরুরি। যারা ভালো ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করতে অসুবিধার মধ্যে আছেন তাদের জন্য আমার এই লেখা সহায়ক হবে" যেভাবে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি খুঁজে বের করবেন "
ওয়েব হোস্টিংয়ে বিভিন্ন ধরনের সার্ভার ম্যানেজমেন্ট এবং কনফিগারেশন কন্ট্রোল প্যানেল আছে। যেমন-সিপ্যানেল, ডিরেক্ট অ্যাডমিন, পে¬ক্স ছাড়াও আরো অনেক। আবার সিপ্যানেলের মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। এই পর্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হওয়া জনপ্রিয় সার্ভার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপি¬কেশন সিপ্যানেল (CPanel) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এখানে সম্পূর্ণ প্যানেলের পরিচিতি তুলে না ধরে, বিভিন্ন পর্বে ভাগ করে আপনাদের কাছে সিপ্যানেলের বিভিন্ন ফিচারের ব্যবহার ও পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে।
সিপ্যানেলের বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে পরিচিত হতে হলে প্রথমেই আপনাকে সিপ্যানেলে কাজ করতে হবে। যারা এখন পর্যন্ত হোস্টিং সার্ভার কেনেননি, তারা নিচের অ্যাড্রেসটিতে ব্রাউজ করে সিপ্যানেলে লাইভ কাজ করার চর্চাটি করতে পারেন।
http://www.cpanel.net/products/cpanelwhm/try-demo.html
এই লিঙ্ক থেকে Domain Owner Panel নির্বাচন করুন এবং ‘cPanel 11 Demo’ বাটনে ক্লিক করুন। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড হচ্ছে ‘x3demob’।
সিপ্যানেলে অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। কয়েকটি ক্যাটাগরির গুরুত্বপূর্ণ অপশন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন ওয়েব ডেভেলপারেরা সহজেই সার্ভারে তাদের ফাইলগুলো ম্যানেজ করতে পারেন।
সিপ্যানেলটি দুটি কলামে বিভক্ত। একটি হচ্ছে বামদিকের সাইডবার। আর অন্যটি সিপ্যানেলে মূল অংশ, যেখানে অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। বামদিকে সাইডবারে যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো-
Notices : এখানে সিপ্যানেলের নোটিস বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে তা জানা যায়।
Find : এটি সিপ্যানেলে বিভিন্ন ফিচার সহজে খুঁজে বের করার সার্চ অপশন। ধরা যাক, আপনি যদি এখানে Database লিখে সার্চ দেন তাহলে সিপ্যানেল মেইন এরিয়াতে শুধু ডাটাবেজের জন্য অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
Frequently Accessed Areas : সিপ্যানেল মেইন অ্যারিয়ার যে অপশনগুলো বেশি ব্যবহার করেন, তার একটি লিস্ট দেখতে পাবেন এই ট্যাবে। এখান থেকে সহজেই সিপ্যানেলের অপশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
Stats : সিপ্যানেলের এই অংশটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হোস্টিং সার্ভারের বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস সহজেই দেখতে পারবেন। এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফাংশন নিচে দেয়া হলো-
Main Domain : এখানে ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটি দেখতে পাবেন, যা এই হোস্টিং অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত। যেমন– yourdomain.com.
Home Directory : আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো সার্ভারের যে ফোল্ডারে জমা হবে, তার অ্যাড্রেস। যেমন- /home/yourdomain.
Disk Space Usage : কতটুকু হোস্টিং স্পেস কিনেছেন এবং কতটুকু ব্যবহার হয়েছে, তার পরিমাণ এখানে দেখতে পাবেন। যেমন– 28.49/500MB, যার অর্থ আপনি ৫০০এমবি হোস্টিং স্পেস কিনেছেন এবং এখন পর্যন্ত ২৮.৪৯এমবি ব্যবহার হয়েছে।
Monthly Bandwidth Transfer : এটি হচ্ছে আপনার মাসিক ডাটা ট্রান্সফার সীমা। যেমন- 300.00/10000MB, যার অর্থ হচ্ছে আপনি ১০০০০এমবি ব্যান্ডউইডথ কিনেছেন এবং এক মাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০০.০০এমবি ব্যবহার হয়েছে।
Email Accounts : কতটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন, তার পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
Subdomains, Parked Domains, Addon Domains : অপনার হোস্টিং প্যাকেজে কতটি সাবডোমেইন, পার্ক ডোমেইন, অ্যাডঅন ডোমেইন রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন তার পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
FTP Accounts, SQL Databases : কতটি এফটিপি অ্যাকাউন্ট, ডাটাবেজ রয়েছে এবং কতটি ব্যবহার করেছেন, এর পরিমাণ এখানে দেখতে পারবেন।
MySQL Disk Space : সাইটটি যদি ডায়নামিক হয়, তবে এর একটি ডাটাবেজ থাকবে। এই ডাটাবেজের সাইজ আপনি এখানে দেখতে পারবেন।
PHP version, MySQL version : এটি আপনার হোস্টিং সার্ভারের অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য। এখানে আপনার সার্ভারের পিএইচপি, মাইএসকিউএল ভার্সন দেখতে পারবেন। অনেক জনপ্রিয় স্ক্রিপ্টের (ওয়ার্ডস্পেস, জুমলা, পিএইচপি বিবি) সর্বশেষ ভার্সনগুলো পুরনো পিএইচপি সাপোর্ট করে না। যেমন- WordPress 2.9-এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম হচ্ছে PHP 4.3 এবং MySQL 4.1.2। তাই সার্ভার কেনার আগে এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নেবেন।
সিপ্যানেলের মূল অংশের পরিচিতি
সিপ্যানেলের ডানদিকের মূল অংশের অপশনগুলো ব্যবহার করেই ওয়েবসাইট ম্যানেজ করতে হয়।
Files : আপনি যখন পিসির লোকাল সার্ভারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তখন এর ফাইলগুলো লাইভ সার্ভারে রাখতে হবে, যাতে সবাই আপনার সাইটটি দেখতে পারে। কোনো কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন হোস্টিং কেনার পর হোস্টিং প্যানেলের ফাইলস ট্যাবের ফাইল ম্যানেজার ফোল্ডারের ভেতরে আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল রাখবেন। ফাইল ম্যানেজার ফোল্ডারে ক্লিক করলে একটি পপআপ বক্স আসবে। এখান থেকে ওয়েব রুট রেডিও বাটনে ক্লিক করে আপনার ওয়েবের রুট ফোল্ডারে অ্যাক্সেস করুন।
এখানেই আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল আপলোড করবেন। আপনার সাইটটি যদি স্ট্র্যাটিক হয়, তবে শুধু ফাইল এবং ইমেজগুলো আপলোড করে রাখলেই হবে। আর যদি সাইটটি ডায়নামিক হয় অর্থাৎ ডাটাবেজনির্ভর সাইট হয়, তবে আপনাকে ডাটাবেজ ট্যাবে একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে এবং আপনার সাইটের ফাইলে ডাটাবেজটির লিঙ্ক করে দিতে হবে।
আপনার ওয়েব ফাইলের সাইজ যদি বড় হয়, তাহলে এফটিপি ব্যবহার করে ফাইল আপলোড করতে হবে।
ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লেখাটি  পড়তে পারেন- বিশেষ করে নতুনদের জন্য
আগামি পর্বে শেয়ার করব লোকাল সার্ভারে তৈরি করা ডায়নামিক/ডাটাবেজনির্ভর ওয়েবসাইট সিপ্যানেলে আপলোড করা, এফটিপি তৈরি করা, ওয়েবমেইল তৈরি করা ইত্যাদি ।
বিশেষ সংযোজনঃপরবর্তী পর্ব ( নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা পর্ব – ০২) পরতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
নতুন ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য সার্ভার ব্যবস্থাপনা(পর্ব – ০২)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন